নোয়াখালী-৪ আসনে দুই সেয়ানের লড়াই

এত দিন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয় থাকলেও এখন তাদের তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ আসনটি আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলের জন্যই ইমেজ রক্ষার লড়াই। আসনটি জেলা সদর হওয়ায় সবার কাছে এ আসনটি গুরুত্বপূর্ণ।

এ আসন থেকে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি শাহজাহান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ফলে কেন্দ্রীয় হাই কমান্ডের দৃষ্টিও থাকে এ আসনে।

এখানে লড়াই হবে দুই সেয়ানে সেয়ানে। বিগত ১০ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ অনেকটা সুসংগঠনিত এবং ঐক্যবদ্ধ। উন্নয়নের কারণে জেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি আস্থাও বেড়েছে অনেক ভোটারের। তাছাড়া উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সচেতন ভোটাররা আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা।

তবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হলে পাল্টে যেতে পারে ভোটের চিত্র। কারণ এ আসনটি বিএনপির খাঁটি হিসেবে পরিচিত। সময় ও সুযোগ ফেলে বিএনপিও ফসল তাদের ঘরে তুলতে বদ্ধ পরিকর।

বর্তমান এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালে এ আসন থেকে প্রথম এমপি নির্বাচিত হয়ে জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিক করে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি নির্বাচনে না আসায় একরামুল করিম চৌধুরী আওয়ামী লীগ থেকে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। দলের নেতাকর্মীরাও চাঙ্গা। ফলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি একরামুল করিম চৌধুরী।