ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮  

১২ নভেম্বরের কথা মনে পড়লে উপকূলবাসীরা আঁতকে উঠেন। সেই স্মৃতি আজো শিহরণ জাগায় তাদের। বলা হচ্ছে ‘ভোলা সাইক্লোন’ এর কথা। ১৯৭০ সালের এইদিনে বাংলাদেশের উপকূলীয় জনপদে আঘাত এনেছিল এই মহাপ্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়। এক রাতেই লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল বির্স্তীর্ণ উপকূল। ওই রাতেই মারা যায় ১০ লাখ মানুষ। তবে, সরকারি তথ্যে এই সংখ্যা ৫ লাখ বলা হয়।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, বিশ্বের ইতিহাসে এ পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়। এর গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২০৫ কিলোমিটার (স্থায়ীত্ব ৩ মিনিট) ও ১৮৫ কিলোমিটার (স্থায়িত্ব ১ মিনিট)। এই সময়েই ১০ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া ছাড়াও লন্ডভন্ড হয়েছিল উপকূলীয় জেলাগুলোর বিস্তীর্ণ জনপদ।

এমনকি এর ভয়াবহতার প্রভাবে ৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে উপকূলীয় এলাকায় ১৭টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মহাপ্রলয়ের এই গভীর ক্ষত সেখানকার মানুষ গেল ৪৮ বছরেও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

ইতিহাস বলছে, ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার দীর্ঘ ১৫ দিন পর হেলিকপ্টারে চড়ে উপকূলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে মাত্র ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। এ ঘটনায় চরম ধিকৃত হয়েছিলেন এই সামরিক স্বৈরশাসক।

অন্যদিকে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘূর্ণিঝড়ের মাত্র একদিন পরেই লঞ্চযোগে উপদ্রুত এলাকায় ছুটে গিয়েছিলেন।এদিকে ইতিহাসের ভয়াবহতম এই দিনটিকে দীর্ঘ ৪৮ বছরেও কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও তাদের স্বজনদের দাবি, জাতির ইতিহাসের অন্যতম শোকাবহ দিন ১২ নভেম্বরকে 'উপকূল দিবস' হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হোক।