ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

খাদ্য অপচয় ৫০ শতাংশ কমানো গেলে বাঁচবে ১৫ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২৪  

সারা বিশ্বে প্রতিদিন উৎপাদিত খাদ্যের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ নষ্ট বা অপচয় হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই পরিমাণটি অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারলে ১৫ কোটি ৩০ লাখ ক্ষুধার্ত মানুষ পেট ভরে খেতে পারবে।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) যৌথ প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ খাদ্য অপচয়ের কারণে যাদের খাদ্যের প্রয়োজন, তারা তা পাচ্ছে না এবং পরিবেশে বাড়তি কার্বন নি:সরণ হচ্ছে।

প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়, নিম্ন-আয়ের দেশের মানুষ সারা বছর যে পরিমাণ খাদ্য খেতে পান (ক্যালরি মানে), উৎপাদিত খাদ্য খামার থেকে দোকান ও বাড়িতে পৌঁছানোর সময়য় তার দ্বিগুণ পরিমাণ (ক্যালরি) নষ্ট হয়।

এ ছাড়া, খামার থেকে খাদ্য টেবিলে পৌঁছানোর প্রক্রিয়ায় অপচয়ের পরিমাণ কমালে '২০৩০ সালের মধ্যে কৃষিখাত থেকে গ্রিন হাউস গ্যাস নি:সরণ চার শতাংশ কমানো ও ১৫ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে অপুষ্টি থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে।'

প্রতিবেদনে বলা হয়, ' নিঃসন্দেহে এটি একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে যারা খাদ্য উৎপাদন করেন এবং যাদের জন্য তা উৎপাদন করা হয়, তাদের উভয়কেই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।'

বর্তমানে বিশ্বের মোট গ্রীনহাউস গ্যাস নি:সরণের ২০ শতাংশই আসে কৃষিখাত ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে।

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে মাথাপিছু খাদ্য অপচয়ের পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমানোর অঙ্গীকার করেছে।

তবে উৎপাদনকারীদের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের কোনো বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা নেই।

পচনশীল হওয়ার কারণে ২০২১ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে খাদ্য অপচয়ের অর্ধেকেরও বেশি ছিল ফল ও সবজি।

২৫ শতাংশ নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল খাদ্য-শস্য।

এফএও'র প্রাক্কলন মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৬০ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে।

প্রতিবেদন মতে, 'খাদ্য অপচয় কমাতে পারলে আরও বেশি মানুষের আওতায় আরও বেশি খাদ্য আসবে এবং সার্বিকভাবে খাদ্যের দাম কমে আসবে। যার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ আরও ভালো করে খেতে পারবে।'

২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য অপচয় অর্ধেকে কমিয়ে আনতে পারলে নিম্ন আয়ের দেশে খাদ্য খাওয়ার পরিমাণ ১০ শতাংশ, নিম্ন-মধ্যবিত্ত দেশে ছয় শতাংশ ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত দেশে চার শতাংশ বাড়বে।