অবাধে চলছে বালু উত্তোলন

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়নের খাসের হাট রাস্তার মাথার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে বালু চলছে। এতে একদিকে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটার আশংকা অন্য দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে, স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা রহস্য জনক বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।

এদিকে জমির মালিক কামাল উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা মৌজায় খরিদ সূত্রে ১৭ একর সম্পত্তি মালিক ও দখল থাকিয়া দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে আসছেন তিনি। সম্প্রতি স্থানীয় জোরদারদের দাবিকৃত মোটা অংকের চাঁদা না দেয়ায় তার জমিতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে মাটি কেটে ও বালি উত্তলন করে বিক্রি করছে। এ ঘটনায় মহামান্য উচ্চ আদালতে রিট দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত ৬ মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এদিকে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে স্থানীয় জোরদার আব্দুল্যাহ আল মামুন, ফখরুল ইসলাম, কেফায়েত উল্যাহ নেতৃত্বে একাধিক লোকজন দাবিকৃত মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি ও অবাধে বালু উত্তোলন করে জমিনকে বড় দীঘিতে পরিণত করছে। এতে ওই ব্যক্তির ফসলি জমিসহ বাড়ী ঘর পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে।

সুবর্ণচরের ইউএরনও মো. আবু ওয়াদুদ বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেউ আমাকে বিষয়টি ভালভাবে জানাননি। কৃষি জমি নষ্ট করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন করা সম্পুর্ন বেআইনি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। তবুও তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।

চরজব্বর থানার ওসি নিজাম উদ্দন জানান, ইউএনও আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা তা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। তবে তিনি মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন।এসপি মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, এটা পুলিশের কাজ নয়, ইউএনওর কাজ, তিনি চাইলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো।