ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিলুপ্তির পথে চিত্রা হরিণ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৮  

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগেরর বুকে জেগে উঠা নিঝুম দ্বীপের মূল আকর্ষণ চিত্র হরিণ বিলুপ্তির পথে। অবাধে বৃক্ষ নিধন, শিকারীদের বেপরোয়া থাবা, শিয়াল-কুকুরের আক্রমণ ও পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাবে দ্বীপটিতে হরিণের অস্তিত্ব সংকটে।

তাই দেশ-বিদেশ থেকে হরিণ দেখতে আসা পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। অথচ পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।

৮০’র দশকে বন বিভাগ এখানে বনায়ন করে। এরপর ১৯৮৫ সালে সরকার এই দ্বীপে ২ জোড়া হরিণ অবমুক্ত করে। পরবর্তীতে তা বেড়ে দাড়ায় ৩০ হাজারে। ২০০১ সালে সরকার জাতীয় উদ্যান ও হরিণের অভয়ারন্য হিসেবে ঘোষণা করে নিঝুম দ্বীপকে।

বন উজাড় হওয়ায় এ সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ১০ হাজারে। গাছ কেটে বসতি গড়ে উঠায় আবাসস্থল হারাচ্ছে হরিণ। এছাড়াও রাত বিরাতে শিকারীরা হরিণ শিকার করে পাচার করছে। শিয়াল-কুকুরের আক্রমণে হরিণের প্রাণহানি ঘটছে অহরহ। দ্বীপের চারদিকে বেড়িবাঁধ না থাকায় নোনা পানি বনে ঢুকে হরিণের খাবার পানি ও খাদ্য সংকট দেখা দেয়। ফলে অনেক সময় প্রাণ বাঁচাতে হরিণ লোকালয়ে এসে ধরা পড়ছে মানুষের হাতে।

খাদ্য ও অবাস সংকটে হরিণ নিঝুম দ্বীপ ছেড়ে পাশ্ববর্তী অন্য দ্বীপগুলোতে চলে যাচ্ছে। দ্বীপে গাছ ও হরিণ কমে যাওয়ায় কমছে পর্যটক।

অপরদিকে নিঝুম দ্বীপের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপে গ্রহণ করেছে ডিসি। গ্রহণযোগ্য একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। ২০১৭ সালে নিঝুম দ্বীপকে জেলার ব্যান্ডিং ঘোষণা করে সরকার। নাম দেয়া হয় ‘নিঝুম দ্বীপের দেশ নোয়াখালী‘।

নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন জানান, নিঝুম দ্বীপে সীমানা প্রাচীর না থাকা, খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন কারণে ৩০ হাজার হরিণ থেকে কমে ৮-১০ হাজারে নেমে এসেছে। অনেক সময় হরিণ পাচার হয়। তাছাড়া প্রতিটি ছোট বা মাঝারি হরিণ মূল্য ২৫-৩০ হাজার টাকা। ফলে টাকার লোভে অনেক স্থানীয় বাসিন্দা হরিণ শিকার ও পাচারের সঙ্গে জড়িত। হরিণ কমে যাওয়ায় পর্যটকও কমে গেছে।

নোয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম জানান, মানুষ বন উজাড় করছে। এতে হরিণ বিচরণের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন কারণে নিঝুম দ্বীপ ছেড়ে হরিণ পার্শ্ববর্তী বনে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় বন বিভাগের বিট অফিসারদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া আছে।

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের এমপি আয়েশা ফেরদৌস জানান, নিঝুম দ্বীপ দেশের একটি সম্পদ। পর্যটকদের ফেরাতে হরিণগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যে কোন মূল্যে বন্ধ করতে হবে নিঝুম দ্বীপের বৃক্ষ নিধন। যারা নিঝুম দ্বীপ ও দ্বীপের হরিণ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।