ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

৫ সন্তানকে নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে পান্না বেগমের

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৪  

স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ। এক বাড়িতে থাকলে তিন দিন থাকেন নিরুদ্দেশ। বাড়িতে ৪ মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে স্ত্রীর। ঠিকমতো তিন বেলা খাবারও জোটে না। অর্থের অভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না সন্তানরা। বলছিলাম নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কামার বাড়ির আব্দুল গোফরানের স্ত্রী পান্না বেগমের কথা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙা বেড়া, পলিথিন ও পুরাতন কাপড় দিয়ে তৈরি করা ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন পান্না বেগম। অভাবের পাশাপাশি ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে যুদ্ধ করে চলছে তাদের জীবন। ছেলে মেয়েরা বড় হলেও অর্থাভাবে যেতে পারছে না বিদ্যালয়ে। কিন্তু তাদের থাকার মতো ছোট ওই ঘরে নেই পর্যাপ্ত জায়গা।

স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন  বলেন, চার মেয়ে আর একটা ছেলে নিয়ে নিদারুণ কষ্টে আছে পান্না বেগম। এই ঘরে থাকার মতো অবস্থা নাই। তার স্বামীর মাথায় সমস্যা। বাচ্চারা বাড়িতে না খেয়ে থাকলেও খবর নেওয়ার কেউ নেই। যদি সরকার বা কোনো বিত্তবান লোক এগিয়ে আসতো তাহলে পান্না বেগম ভালোভাবে থাকতে পারতেন। 

প্রতিবেশী ইব্রাহিম হোসেন  বলেন, পান্না বেগম সন্তানদের নিয়ে এখন খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। একটি মাত্র ঘর, তাও আবার ভাঙাচোরা। একদম বসবাস অনুপযোগী। এমন ঘর আমাদের এলাকায় নেই। সরকারি কিংবা কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান তাকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিলে ভালো হতো। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার নিশ্চয়তা পেত।

পান্না বেগম বলেন, স্বামী সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কী খাই, কিভাবে দিন যায় বলতে পারি না। এক আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না আমাদের কষ্ট। আর কাউকে বোঝাতেও পারি না। কোনোদিন একবেলা খাই, বাকি দুইবেলা না খেয়ে থাকি। বর্ষাকাল আসছে এখন না ঘুমিয়ে রাত পার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে আমাদের রক্ষা হবে।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিখা সংসদের মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘরটা দেখে আমরা অবাক হয়েছি। ঘরটি খুবই জরাজীর্ণ। পান্না বেগম খুব কষ্টে বসবাস করছিলেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা পান্না বেগম পাশে দাঁড়াতে চাই। আমাদের প্রবাসী বিত্তবানরা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। আমরা সে টাকায় নতুন ঘর নির্মাণ করে দিতে চাই। বিত্তবানরা এগিয়ে এলে সমাজে আর অসহায় মানুষ থাকবে না। আমাদের সমাজ পরিবর্তন হলে, আমাদের দেশ পরিবর্তন হবে। 

ছয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান বলেন, আমি পান্না বেগম ও আব্দুল গোফরান দম্পতির খবর জানি। আব্দুল গোফরান ছয়ানী বাজারে মাঝেমধ্যে দেখা যায়। কেউ কিছু দিলে সে বাড়ি বাজার করে নিয়ে যায়। তাদের ঝুপড়ি ঘরের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করব। এ ছাড়া সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনব।