ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষার্থীরা জানে না, অথচ অনলাইনে ভর্তির আবেদন, বিপাকে দেড় শতাধিক

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৪  

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় সদ্য উত্তীর্ণ হওয়া দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছেন। এসএসসি পাস করা দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির কোনো আবেদন না করলেও ওয়েবসাইটে ‘আবেদন সম্পন্ন হয়েছে’ দেখতে পাচ্ছেন।

অভিযোগ, নতুন পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত হাজী মোশারেফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে কেবলমাত্র ‘কলেজের স্বীকৃতি পাওয়ার’ জন্য একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন করেছে। 

জানা যায়, কয়েকজন শিক্ষার্থী কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে যান। এ সময় তারা দেখতে পান তাদের কলেজ ভর্তির আবেদন সম্পন্ন। এতে তারা হতভম্ব হয়ে পড়ে। আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইন হওয়ায় ওইসব শিক্ষার্থীরা তা বাতিল করতে পারছেন না কিংবা নতুন করে আর কোনো কলেজে ভর্তির আবেদনও করতে পারছেন না। প্রতিটি আবেদনে হাজী মোশারেফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম প্রথম পছন্দে রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ধারণা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ এ কাজ করেছে। এতে তারা বিপাকে পড়েছেন। 

সূত্র জানায়, স্থানীয় পাঁচটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ভোগান্তিতে পড়েছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- সওদাগর হাট উচ্চ বিদ্যালয়, গ্লোব বাজার হাইস্কুল, চরমজিদ এসইডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, চরমজিদ ভূঁইয়ার হাট দাখিল মাদরাসা এবং হাজী মোশারেফ হোসেন স্কুল।

হাজী মোশারেফ হোসেন স্কুলের শিক্ষার্থী সীমা রানী দাস। তিনি সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হন। তিনি জানান, শনিবার স্থানীয় একটি কম্পিউটার দোকানে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির জন্য আবেদন করতে যান। আবেদন করতে গিয়ে দেখেন তার আবেদন সম্পন্ন। অথচ তিনি কোথাও আবেদন করেননি। পরে দেখতে পান হাজী মোশারেফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ তার আবেদন প্রথম পছন্দ দেয়া হয়েছে। 

একই অবস্থা সওদাগর হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৪ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সজীব চন্দ্র কাহারেরও। তিনি জানান, এসএসসি পরীক্ষায় ৪.০০ সিজিপিএ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তার ইচ্ছে ছিলো ভালো কোনো কলেজে ভর্তির আবেদন করবেন। কিন্তু আবেদন করতে গিয়ে দেখেন সার্ভারে তার অনলাইন আবেদন নিচ্ছে না। পরে জানতে পারেন হাজী মোশারেফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে না জানিয়ে ওই কলেজকে প্রথম চয়েস দিয়ে তার আবেদন করে রেখেছে। অথচ সেখানে তার ভর্তির কোনো ইচ্ছেই নেই। এখন অন্য কোথাও আবেদন করার সুযোগও পাচ্ছে না তিনি। এ অবস্থায় ভর্তি নিয়ে শঙ্কিত তিনি। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের না জানিয়ে কিভাবে এধরণের কাজ করেছে? যাদের শুরুই অন্যায় দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের কি শিখাবে? এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা অন্যত্র আবেদন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে শিক্ষা বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর একই অবস্থা। তাদেরকে না জানিয়ে হাজী মোশারেফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ তাদের আবেদন সম্পন্ন করে বসে আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজী মোশারেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিরঞ্জন চন্দ্র নাথ বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানটি নতুন। এটার স্বীকৃতির (এমপিওভুক্তি) একটি বিষয় আছে। যত বেশি ছাত্রছাত্রী থাকবে তত দ্রুত স্বীকৃতি পাবো। কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত হলে সুযোগ সুবিধা বাড়বে। তাছাড়া এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন না করলে আমরা শিক্ষার্থী পাবো কোথায়। আর অনেকের সঙ্গে কথা বলে আবেদন করেছি। সবার সঙ্গে যে যোগাযোগ করিনি তা ঠিক না। তবে এটা আমাদের উচিত হয় নি। কেউ যদি ভর্তি না হতে চায় আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, কোনো কলেজের কেউ এ ধরনের অনৈতিক কাজ করতে পারে না। যদি তারা শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে তাদের আবেদন করে এটা অপরাধ করেছে। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। 

একই আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি খোঁজ নিবেন। যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।