ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নোয়াখালী দিনে ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২৪  

নোয়াখালী জেলার নয়টি উপজেলায় অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রাহকরা। দিনের ২৪ ঘণ্টায় কোথাও ৮ ঘণ্টা, কোথাও ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। অর্থাৎ দিনে ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এলেও ঘণ্টাখানেকের বেশি থাকে না। গত ২৫ জুন অতিষ্ঠ গ্রাহকরা সেনবাগ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এক দফা হামলা চালিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীলরা বলছেন, চাহিদার অর্ধেকেরও কম সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে; বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।  
জানা যায়, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে জেলা শহর ও ৯টি উপজেলায় ৯ লাখ ৪১ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবি) অধীনে ১ লাখ ৬৮ হাজার এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে ৭ লাখ ৭৩ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। 
পল্লী বিদ্যুৎ নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জাকির হোসেন জানান, জেলার চাটখিল, সোনাইমুড়ী, বেগমগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সদর, সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলায় বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার। এসব গ্রাহকের রাতের বেলায় বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৮০-১৮২ মেগাওয়াট এবং দিনে চাহিদা থাকে ১৪০-১৪২ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যায়। 
পিডিবি নোয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবুল বাহার জানান, নোয়াখালী পৌরসভা ও আশপাশের এলাকায় ৮০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এসব গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন ৩৪-৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও তার বিপরীতে ৪০-৫০ শতাংশ সরবরাহ পাওয়া যায়। এ কারণে লোডশেডিং হয়।
তিনি বলেন, বেগমগঞ্জের মিরওয়ারিশপুরে বেসরকারি বিদ্যুৎ উন্নয়ন সংস্থা হোসাব পাওয়ার প্লান্ট রয়েছে। ওই পাওয়ার হাউসের দৈনিক ১১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ  উৎপাদন ও সরবরাহ করার কথা থাকলেও সেটি মাত্র ৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করে। আবার প্রায়ই উৎপাদন বন্ধ থাকে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যায় না।  
চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর  মহল্লার বাসিন্দা গৃহবধূ স্বপ্না আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় ৩-৪ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ এলেও ৩০ মিনিটের বেশি থাকে না। ফলে আইপিএসের ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে না, ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখা যাচ্ছে না। এরপরও অনুমাননির্ভর ও ভূতুড়ে বিল চাপিয়ে দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।’
সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন, লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের জোলেখা বেগম ও ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘গত এক মাস ধরে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে আমরা অতিষ্ঠ। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।’ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কাদির হানিফ এলাকার বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘তীব্র গরম ও  দীর্ঘমেয়াদি লোডশেডিংয়ের কারণে পড়াশোনা কনতে কষ্ট হচ্ছে।’ বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না।’
গত ২৫ জুন রাতে সেনবাগ উপজেলার নবিপুর ইউনিয়নের আইসের টেক এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্রে লোডশেডিংয়ের সময় গ্রহকরা হামলা চালান।  পল্লী বিদ্যুতের সেনবাগ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মিনারুল ইসলাম হামলার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ‘লোডশেডিংয়ের মাত্রা আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। সেনবাগ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় প্রতিদিন ২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও এর বিপরীতে পাওয়া যায় ১২-১৪ মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিং না করে উপায় থাকে না।’

বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার আবাসিক এলাকা মন্ডল পাড়ার  বাসিন্দা ইউনুস শিকদার বলেন, ‘রাতের বেলা কয়েক দফায় ৩ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। গরমের মধ্যে ও অন্ধকারে ছোট ছোট শিশুদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।’ 
পিডিবি চৌমুহনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশল মো.  শাহাদাত ইসলাম বলেন, ‘বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীতে ৪৩ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এ সকল গ্রাহকের দিনের বেলায় চাহিদা ২৪ মেগাওয়াট। বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া যায় ১২ মেগাওয়াট। রাতের বেলা চাহিদা ২ মেগাওয়াট, সরবরাহ পাওয়া যায় ১৩-১৪ মেগাওয়াট। সেভাবেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।’