ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১ ১৪৩১

  • || ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শক্তিশালী অবস্থানে তোফায়েল, শঙ্কার মুখে পার্থ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮  

বর্ষীয়ান রাজনীতিক তোফায়েল আহমেদ এবার ভোলা সদর আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অতীতে জেলার একাধিক আসনে তিনি ভোটের লড়াইয়ে নামলেও এবার ভোলা-১ কেই বেছে নিয়েছেন।

২০০১ সালে ভোলার তিনটি আসন থেকে দাঁড়িয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা। তবে ২০০৮ সালে তিনি নির্বাচন ভোলা-২ আসন থেকে নির্বাচন করেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পান ভোলা-১ আসনে। এবারও এখান থেকেই রয়েছে ভোটের প্রস্তুতি।

ভোলার অন্যতম প্রধান সমস্যা নদীভাঙন রোধে গত পাঁচ বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে তোফায়েলের প্রচেষ্টায়। ইতিমধ্যে ইলিশা ও রাজাপুরে নদীভাঙন রোধে সিসি ব্লকের কাজ চলছে। ভোলা-বরিশাল সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য তেঁতুলিয়া নদীর ওপর নির্মাণ হচ্ছে সেতু। এরই মধ্যে যাচাই হয়েছে সম্ভাব্যতা। আর এসব উদ্যোগের সুফল পাওয়ার আশা করছে আওয়ামী লীগ।

এদিকে ১৯৯৯ সালে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোট মিলে গঠন হয় চারদলীয় জোট। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে এরশাদ জোট থেকে বেরিয়ে যান। তবে তার দলের একাংশ বিজেপি নামে আলাদা দল গঠন করে জোটে থেকে যান নাজিউর রহমান মঞ্জু। তবে আসনটিতে সে সময় মনোনয়ন পায় বিএনপি।

যদিও নাজিউরের মৃত্যুর পর ২০০৮ সালে তার ছেলে আন্দালিব রহমান পার্থকে আসনটি ছেড়ে দেয় বিএনপি আর তিনিই সে সময় ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে জিতেন।

এবারও পার্থ ছাড়ের আশা করছেন। তবে স্থানীয় বিএনপি আবার নিজেদের প্রার্থী দেয়ার দাবিতে সোচ্চার। জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর এবার ধানের শীষ পাওয়ার প্রত্যাশায়। কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিনও মনোনয়নের জন্য লবিং করছেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি গঠনও করা হয়েছে। এ আসন থেকে আমরা গোলাম নবী আলমগীরকে প্রার্থী চাই। তাকে কেন্দ্র করেই দলীয় কর্মকা- এগিয়ে চলছে। তাকে ছাড়া অন্য বিকল্প কোনো প্রার্র্থীর কথা তারা চিন্তা করছিন না আমরা।’

তবে বিজেপি পার্থকে ধরেই সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলের সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির ভোলা শাখার সহ-সভাপতি অনুপম দত্ত বলেন, ‘বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ ২০০৮ সালে ২০ দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আগামী নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়ন পাবেন। এটা প্রায় নিশ্চিত। তারা সেই লক্ষ্যেই কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন।’

এটা স্পষ্ট যে বিএনপি ও বিজেপিতে এক ধরনের দ্বন্দ্ব-বিভেদ আছে। শেষ পর্যন্ত বিএনপি যদি ২০০৮ সালের মতোই পার্থকে বেছে নেয়, তাহলে তাকে বিএনপির পূর্ণ সহযোগিতা দরকার পড়বে। আর সেটা এবার তিনি পাবেন কি না, সেটাও দেখার অপেক্ষা।