ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৫ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮  

বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান কোটালিপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের। এখানে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে যে পরিমাণ ভোট পড়ে তা খুবই নগণ্য। বছর বছর এই সংখ্যাটাও কমছে।বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সাল থেকে এই আসনে নির্বাচন করে আসছেন। প্রতিবারই যোজন যোজন ব্যবধানে বিজয়ী হন তিনি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এই আসনে প্রদত্ত ভোটের ৯৮.৭ শতাংশই পড়ে নৌকায়। শেখ হাসিনা পান এক লাখ ৮৭ হাজার ১৮৫ ভোট। জাতীয় পার্টির এ জেড শেখ অপু পান দুই হাজার ৪৩০ ভোট। শতকরা হিসাবে এটি ১.৩ শতাংশ মাত্র।

ওই নির্বাচনে অবশ্য বিএনপি-জামায়াত এবং সমমনারা অংশ নেননি। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে তারা অংশ নেয়ার পরও পরিস্থিতি যে অন্য রকম ছিল, তেমন নয়।

ওই বছর শেখ হাসিনা পান এক লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সেলিমুজ্জামান সেলিম পান চার হাজার ৪৫১ ভোট। কল্যাণ পার্টির আফজাল হোসেন পান ২১১ ভোট। তখন মোট ভোট পড়ে এক লাখ ৬৫ হাজার ৮৬টি এবং এর ৯৬.২৮ শতাংশই পায় নৌকা।

২০০১ সালে শেখ হাসিনা পান এক লাখ ৫৪ হাজার ১৩০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ওমার আহমেদ পান সাত হাজার ২২৩ এবং বাংলাদেশ হিন্দু লীগের বীরেন্দ্র নাথ মিত্র পান ৯২২ ভোট।

তার আগের নির্বাচন ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা পান এক লাখ দুই হাজার ৬৮৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিষ্ণুপদ হালদার পান দুই হাজার ৫৬৮ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা জামায়াতের আবদুল মান্নান পান দুই হাজার ৫১২ ভোট। ওই নির্বাচনে ভোট পড়ে এক লাখ ১১ হাজার ৩৯৭ ভোট, যার ৮২.১৮ শতাংশই পায় নৌকা।

১৯৯১ সালে শেখ হাসিনা পান ৬৭ হাজার ৯৪৫ ভোট। আর তার বিপরীতে খেলাফত আন্দোলনের ওমর আহমেদ পান ১৭ হাজার ২৫৬ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা হিন্দু লীগের বীরেন্দ্র নাথ মৈত্র পান চার হাজার ২৪৬ ভোট। তখন ভোট পড়ে ৯৪ হাজার ১০৯ ভোট। তখন প্রদত্ত ভোটের ৭২.১৯ শতাংশ পায় নৌকা।

১৯৮৬ সালে এই আসন থেকে প্রথমবার নির্বাচন করেন শেখ হাসিনা। তখন ৮০ হাজার ৬৪৬ ভোট পেয়ে জেতেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার বিপক্ষে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির কাজী মাহমুদ হোসেনের পক্ষে ভোট পড়ে ২৪ হাজার ৩৫৫ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে থাকা সরাফত হোসেন চৌধুরী পান এক হাজার ৯৪০ ভোট। তখন ভোট পড়ে এক লাখ সাত হাজার ৮৬১ ভোট। তখন প্রদত্ত ভোটের ৭৪ শতাংশ ৭৬ শতাংশ পড়ে নৌকায়।

ওই বছর গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকেও জেতেন শেখ হাসিনা। ওই আসনে তিনি পান ৮৬ হাজার ৩০১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মোহাব্বতজান চৌধুরী পান ৬৬ হাজার ৮৮৫ ভোট। হিন্দু ঐক্যফ্রন্টের ভবেন্দ্রনাথ দাস পান ৩৬২ ভোট। মোট ভোট পড়ে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬২৯ ভোট। অর্থাৎ প্রদত্ত ভোটের ৫৬.১৭ শতাংশ পড়ে নৌকায়।

গোপালগঞ্জবাসী আর শেখ হাসিনার এই ভালোবাসা দুই তরফেই। তারা যেমন প্রায় শতভাগ ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নির্বাচিত করে আসছে, তেমনি তিনিও দিয়ে আসছেন তার প্রতিদান।

এলাকার একেবারে ছিন্নমূল মানুষও বিপাকে পড়লে বঙ্গবন্ধুকন্যার কাছে তার দাবি পৌঁছাতে পারেন। সেই ব্যবস্থা করা আছে। আবার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর উন্নয়নবঞ্চিত জনপদটিতে এনেছেন সমৃদ্ধির ছোঁয়া। নতুন নতুন রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কৃষিতে বিপ্লব উপকরণ, বিনাসুদে ঋণ, গৃহহীনদের গৃহ, ভূমিহীনদের ভূমি দিয়েছেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস বলেন, আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) যতদিন জীবিত থাকবেন, ততদিনই বঙ্গবন্ধুর নৌকা নিয়ে এই আসনে নির্বাচন করবেন এটা আমাদের ও ভোটারদের প্রাণের দাবি। আমরা তৃণমূল থেকে নেত্রীকেই মনোনয়ন করে রেখেছি।

‘প্রধানমন্ত্রীর এই আসনে অন্য কোনো দলের প্রার্থী যদি নির্বাচন করে, তাহলে তার জামানত হারাবে। অতীতে এমন হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমনই হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক বলেন, ‘এই আসনের মানুষের ভালোবাসায় তিনি তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী। আগামীতেও এই আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবেন বলে আমার বিশ্বাস।

এবার বিপরীতে প্রার্থী কে?

জেলা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম জিলানীর নাম শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। তবে দেশের অন্য এলাকার মতো এই আসনে দলটির খুব বেশি আগ্রহ নেই প্রার্থিতা নিয়ে।

এ ছাড়া কোটালীপাড়া উপজেলা জাসদের (ইনু) সভাপতি অরুণ চন্দ্র সাহা ও রিয়াজুল ইসলাম তালুকদারের (আম্মিয়া) নাম শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে।