ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কঠিন হয়ে গেল তারেকের যুক্তরাজ্যে থাকা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২৪  

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় হয়েছে লেবার পার্টির। দীর্ঘ ১০ বছর পর লেবার পার্টি সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। লেবার পার্টির এই সরকার গঠনের ফলে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার যুক্তরাজ্যে থাকা কঠিন হয়ে পড়লো। লেবার পার্টি দীর্ঘদিন ধরেই তারেক জিয়ার যুক্তরাজ্যে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসছিল। রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা কোন ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে বসে রাজনীতি করতে পারে কিনা এই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে লেবার পার্টির একাধিক পার্লামেন্টইন এর পক্ষ থেকে।

কনজারভেটিভ পার্টির আনুকূল্যে এবং সহযোগিতার কারণেই লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সেখানে থাকতে পেরেছিলেন। এর আগে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছিলো কিন্তু সেই সময় এই অভিযোগেরও তদন্ত করেনি তৎকালীন কনজারভেটিভ সরকার। তারেক জিয়া সেখানে একটি কোম্পানি খুলে অবৈধভাবে লেনদেন করেছিলেন। এই অভিযোগে যুক্তরাজ্যে একটি তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির কিছু নেতার অনাগ্রহের কারণে শেষ পর্যন্ত সেই তদন্ত ধামাচাপা দেয়া হয়। 

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এনিয়ে লেবার পার্টির অন্তত ৩ জন সদস্য বক্তব্য রেখেছিলেন। লেবার পার্টির অভিবাসন নীতিতে তিনটি বিষয় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রথমত, কোন দণ্ডিত ব্যক্তি যেন যুক্তরাজ্যের ভূখণ্ডে থাকতে না পারে। যে সমস্ত দেশ থেকে তারা অপরাধ করে এসেছেন সেই সমস্ত দেশের সঙ্গে চুক্তি করে দ্রুত তাদের ঐ দেশে ফেরত পাঠানোর নীতিতে বিশ্বাস করে লেবার পার্টি। 

দ্বিতীয়ত, লেবার পার্টি মনে করে যাদেরকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হয়েছে তা একটি মানবিক আশ্রয়। রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা কোন ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে বসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না। এবং এটি যদি তারা করে তাহলে যে দেশ থেকে তিনি পালিয় এসেছেন সে দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। একারণেই লেবার পার্টি সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা ব্যক্তিদের আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতি বন্ধের দাবি করে আসছিলো। 

তৃতীয়ত, লেবার পার্টি সবসময় মনে করে যারা রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসেব নিয়মিতভাবে যাচাই-বাছাই করা উচিত। কারণ তারা যুক্তরাজ্যে থেকে কিভাবে বিপুল বিত্ত-বৈভবের জীবন-যাপন করছেন সে ব্যাপারে অনুসন্ধান করা উচিত। 

লেবার পার্টির এই ভূমিধস বিজয়ের ফলে এই বিষয়গুলো সামনে আসবে। সেক্ষেত্রে তারেক জিয়ার যুক্তরাজ্যে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। 

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে এক-এগারোর সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে তারেক জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। সেই মুচলেকায় বলা হয়েছে, তিনি আর কখনো রাজনীতি করবেন না। কিন্তু লন্ডনে গিয়ে আস্তে আস্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এখন তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লন্ডন থেকেই দলকে পরিচালিত করছেন এবং তার বিরুদ্ধে লন্ডনে নাশকতা, চাঁদাবাজি, অর্থ-পাচারসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এবার লেবার পার্টি যেহেতু নিঙ্কুশ জয় পেয়েছে সেকারণেই তারেক জিয়াকে দ্রুত জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এছাড়াও বিগত কনজারভেটিভ সরকারই বাংলাদেশের সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে ‘ফাস্ট-ট্র্যাক’ চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলো এছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে আসামি আদান-প্রদানের ব্যাপারেও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিলো। এসব চুক্তি কার্যকর হলে তারেক জিয়ার লন্ডনে থাকা সম্ভব হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এখন লেবার পার্টি ক্ষমতা গ্রহণ করার পর বোঝা যাবে, তারেক জিয়ার ভাগ্য কিভাবে নির্ধারিত হয়।