ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১ ১৪৩১

  • || ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মেহমানের কর্তব্যসমূহ জেনে নিন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৮  

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। জন্মের শুরু থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যাবতীয় করণীয় বিষয়সমূহ সম্বন্ধে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ্পাক এবং হাদীস শরীফে তাঁর রাসূল (সা.) সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

মেহমানদারি ছিল আমাদের নবীজী (সা.) এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ফার্সি ভাষায় মেহমান মানে অতিথি এবং মেজবান হচ্ছেন যিনি অতিথিদেরকে আতিথেয়তা দিবেন। আজ আমরা ইসলামের নীতি অনুসারে মেহমান হিসেবে একজন মুসলিমের কর্তব্য এবং আদব সমূহ সম্পর্কে জানবো।

(১) কারো বাড়িতে মেহমান হিসেবে যেতে হলে মেজবানের (যিনি আতিথেয়তা দিবেন) শিশুদের জন্য কিছু হাদিয়া তোহফা(মজাদার খাদ্য সামগ্রী অথবা কোনো উপহার) নিয়ে যাওয়া উচিত। এতে করে বন্ধুত্ব ও সম্পর্কের অনুভূতি বৃদ্ধি পায়।

(২) যার বাড়িতে মেহমান হিসেবে যাওয়া হোক না কেন তিনদিনের বেশি সময় অবস্থান না করার যথাসাধ্য চেষ্টা করা। প্রিয়নবী (সা.) এর হাদীস শরীফে এসেছে, কোনো মুসলিমের জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে তার ভাইয়ের কাছে এত বেশিদিন অবস্থান করে যে তাকে গুনাহে লিপ্ত করে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, এটা কীভাবে? নবীজী (সা.) বললেন, মেহমান এতদিন অবস্থান করল যে তাকে খাওয়ানোর মত কিছু মেজবানের কাছে অবশিষ্ট থাকল না। -সহীহ মুসলিম

(৩) শুধু অপরের মেহমান হওয়া শোভনীয় নয়, অন্যদেরকেও নিজের ঘরে আসার দাওয়াত দেওয়া এবং আতিথেয়তার কমতি না করা উচিত।

(৪) যার ঘরে মেহমান হিসেবে যাওয়া হবে তার কর্মব্যস্ততা ও দায়িত্বের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষ করে লক্ষ রাখতে হবে যে, নিজের কারণে তার কর্ম ব্যস্ততার জন্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয় এবং দায়িত্বে ব্যাঘাত না ঘটে।

(৫) মেজবানের নিকট কিছু দাবি করা যাবে না। তিনি মেহমানের সন্তুষ্টির জন্য স্বেচ্ছায় যে ব্যবস্থা করবেন তার ওপরই মেহমানের শুকরিয়া আদায় করা উচিত আর তাকে অনর্থক কষ্টে ফেলবে না।

(৬) মেজবানের বাড়ির পুরুষদের অনুপস্থিতিতে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী ঐ বাড়ির যে সব মহিলাদের সঙ্গে পুরুষের কথা বলা হারাম তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবে না বা কারো কথাবার্তা কান লাগিয়ে শুনবে না।

(৭) কারো বাড়িতে যখন দাওয়াতে যাবে পানাহারের পর মেজবানের সম্পদ বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের উন্নতির মাগফিরাত ও রহমতের জন্য দোয়া করবে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) একবার এক সাহাবীর বাড়িতে গেলেন দাওয়াতে। সাহাবী রুটি ও জলপাই খাবার হিসেবে আপ্যায়ন করলে রাসূল (সা.) তা খেয়ে সাহাবীকে এই দোয়া করলেন, ‘তোমাদের নিকট রোজাদারগণ ইফতার করুক! সৎ লোকেরা তোমাদের খাদ্য খাক! আর ফেরেশতাগণ তোমাদের জন্য মাগফিরাত ও রহমতের দোয়া করুক।’