শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর চোখ,সত্যতা পেয়েছে কমিটি

শিক্ষকের বেতের আঘাতে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ওয়াজেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মাহিদুল হাসানের ডান চোখ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যরা। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৪ মে সকালে শ্রেণিকক্ষে মাহিদুলকে বেত্রাঘাত করেন তাপস মজুমদার। এতে চোখে আঘাত পায় শিশু মাহিদুল। তার চিৎকার শুনে অপর শিক্ষকরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয় ওই শিশু শিক্ষার্থীকে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চোখের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে ভারতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন চিকিৎসকেরা।

ভুক্তভোগী ছাত্রের মা হাসিনা আক্তার বলেন, আমার ছেলের ডান চোখে মারাত্মক আঘাত রয়েছে। চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। ভারতে যাওয়ার ভিসা পেয়েছি। যেকোন মুহূর্তে ছেলেকে নিয়ে ভারতে যাব।

এ ঘটনা তদন্তে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইনুল হোসেন জিলানীকে প্রধান করে উপজেলা প্রশাসন তিন সদস্যের একটি কমিটি করে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে মাহিদুলের ডান চোখে আঘাতের কথা উল্লেখ রয়েছে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইনুল হোসাইন জিলানী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রের ডান চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানিয়ে দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সেটি পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।