ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কোটা: ফেনীতে শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা, আহত ২৫

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৪  

ফেনীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, ছাত্রলীগের বেধড়ক পিটুনিতে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলও আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ওসি মো. রুহুল আমিন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে শহরে জমায়েত হতে চেষ্টা করে। কিন্তু শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রবেশের মুখে তাদের বাধা দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

শহরের জিরো পয়েন্ট ট্রাংক রোড এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থী দেখা মাত্র ব্যাগ তল্লাশি করে শহীদ মিনারের ভেতরে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে মারধর করতে করতে শিক্ষার্থীদের ফেনী সরকারি কলেজের ভেতরে নিয়ে যায় তারা।

এ সময় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইর এক কর্মকর্তাকেও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হেনস্তা করেছে বলে জানা গেছে।

এর মধ্যেই দুপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি দল শহরের বড় মসজিদ এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্ট দোয়েল চত্বর এলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।

 

 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীদের ব্যানার টেনে-হিঁচড়ে কেড়ে নিয়ে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে আন্দোলনকারীদের বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। শিক্ষার্থীরা আশপাশের দোকানে ঢুকে নিজেদের আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে সেখানেও হামলা করা হয়।

এতে সাজ্জাদ, কামরান, জুঁইসহ অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।

শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে শহরে আসি। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পথে পথে আমাদের বাধা ও মারধর করেন।

“পরে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্বর এলাকায় পৌঁছালে তারা অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিপেটা করে। আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।”

আরেক শিক্ষার্থী কামরান বলেন, “ছাত্রলীগের নেতারা মারধর করে অনেক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখেছে। তাদের হামলা থেকে নারী শিক্ষার্থীরাও বাদ পড়েনি। হামলার সময় পুলিশের উপস্থিত থাকলেও তারা নিশ্চুপ ছিল।”

তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, “সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের তিন হাজারের মতো নেতা-কর্মী অবস্থান করছেন। কোটার নামে বিশৃঙ্খলাকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।”

শিক্ষার্থীদের মারধর ও আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অনেকেই না বুঝে মিছিল করছে। তাদের আটক করে আমরা কি করব, বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি।”

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “জিরো পয়েন্টে কে কার ওপর, কীজন্য হামলা করেছে তা নিয়ে আমরা এখনো স্পষ্ট না। এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে। আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। “

 

 

তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ওসি মো. রুহুল আমিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশের কনস্টেবল রেজাউল করিম আহত হয়েছেন।

এদিকে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইর কর্মকর্তা হেনেস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম ও পদবি প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেনী কার্যালয়ে কর্মরত এসআই পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, “ আমাদের অফিসের স্টাফ শাহাদাত হোসেন হেনস্থার শিকার হয়েছে। তবে আপনারা মিডিয়াতে এমন তথ্য না দিলে ভাল হয়।”

অপরদিকে সকালে শহরের ইসলামপুর রোড, তাকিয়া রোড, বড় বাজারের গলিতে কোটা বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ও স্লোগান দিয়েছে ছাত্রদলের একাধিক পক্ষ।

সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে সোমবার হঠাৎ করেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত ও সহিংসতা হয়।

রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। চট্টগ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন তিনজন; যাদের মধ্যে একজন দোকান কর্মচারী, একজন ছাত্রদল নেতা এবং অপরজন ছাত্র।

এ ছাড়া ঢাকায় সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় সংঘর্ষে নিহত দুইজনের একজন ফুটপাতের দোকানি ও অপরজন ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ আলী।