ব্রেকিং:
হামাসের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা পুলিশের নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত দেশজুড়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর দেশজুড়ে যেসব কার্যালয়-স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর-আগুন ১৬ বছর পর বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয় এই দিনে প্রতিটি হত্যার বিচার হবে, একটু সময় দিন: সেনাপ্রধান ১১টার মধ্যে শহীদ মিনারে জড়ো হতে বললেন আসিফ মাহমুদ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা আজ থেকে তিন দিনের সাধারণ ছুটি শুরু শহীদ মিনারে স্লোগান দিচ্ছেন রিকশাচালকেরাও শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, গাড়িতে আগুন গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক বসছে আজ আন্দোলনকারীরা চাইলে এখনই বসতে রাজি: প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে বাস চাপায় একই পরিবারের তিনজন নিহত মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ, সঙ্গে টেলিগ্রামও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের গেজেট প্রকাশ পুরো আগস্ট কালো ব্যাচ পরতে হবে শিক্ষক-কর্মচারীদের
  • রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেনীতে ২ মামলায় আসামি ৪০০, গ্রেফতার ৭৪

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৪  

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সড়কে হামলা ও ভাংচুর, সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের ৪শ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭৪ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গত ১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষে শহরের ট্রাংক রোড রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে শহরের সেন্ট্রাল হাই স্কুলের সামনে থেকে কোটা সংস্কারের দাবি ও বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাঈদ সহ শিক্ষার্থীদের হত্যার ঘটনায় বিচার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

মিছিলটি ট্রাংক রোডের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় তারা বড় মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ে। পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে বাক-বিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে মিছিলকারীরা তাকিয়া রোড থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আসর নামাজ শেষে বড় মসজিদ থেকে মুসল্লীরা বের হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ শ্লোগান দিলে পুলিশ পিছু হটে প্রেস ক্লাবের সামনে চলে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। কিছুক্ষন পর বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আন্দোলনকারীরা পিছু হটে।

পুলিশ সূত্র জানায়, এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানার এসআই আল আমিন বাদি হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ১শ থেকে ১৫০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ২১ জুলাই রোববারের ঘটনায় এসআই জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ থেকে ২শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

আসামীদের মধ্যে কোটা ইস্যুতে নেতৃত্ব দেয়া ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মারুফ হায়দার তাজিম ছাড়াও জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম-আহবায়ক গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, যুবদল সভাপতি জাকির হোসেন জসিম, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত, ছাত্রদল সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন, ছাত্রশিবিরের ফেনী শহর সভাপতি শরীফুল ইসলাম, জেলা সভাপতি ইসমাইল হোসেনের নাম রয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, কোটা ইস্যু নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এসব ঘটনায় ৭৪ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।